চুম্বিত বসন্ত
বসন্তকে ধরবো বলে বেরিয়েছি বাইরে
সেজেছে ধরিত্রী যেন আদুরে গোপাল
মনোহর কাশবাগানে বেলাল্লা বৈতাল
নেই দিশা চোখে নেশা ছুটছি তাইরে-নাইরে।
দিগবালিকা সৌদামিনী জানি আমি ভাইরে
কৃষ্ণচূড়া লালে লাল মহুয়া মাতাল
শিমুল পলাশ দিয়ে সেজেছে চাতাল
পিয়াসি পরানে খুঁজি কোথায় যে পাইরে।
বাসন্তী হাওয়ায় গৌরী উচ্ছ্বসিত নদী
বুকে উছলে ওঠে প্রেম জানেনাতো কেউ
নির্ঝরিণী নিরুপমা উঠতি উজ্জীবন
দক্ষিণা পবনে ফের দেখা হয় যদি
হাতে হাত চোখে চোখ তোলপাড় ঢেউ
চুম্বিত বসন্তে আজ বিকশিত মন।
মেট্রোরেলে সেমন্তি
মেট্রোরেলে উপচেপড়া মানুষের ঢল
উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিলে যায়
শেওড়াপাড়ার সেমন্তি ফাগুন হাওয়ায়
ভীড় ঠেলে সামনে বাড়ে বুকে নিয়ে বল
আঁখিতে কাজল ছিল যৌবন টলমল
লম্বা চুল কানে দুল ট্রেনে দোল খায়
এতদিনে মন পেল, মন যারে চায়
পড়ন্ত বিকেলে বুকে বাজিছে মাদল।
রক্তিম আকাশে হাসে পলাশের বন
আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে হলুদিয়া পাখি
বসন্তমঙ্গলে নাচে সেমন্তি হৃদয়
দেহের উষ্ণতা বাড়ে স্রোতের মতন
হরিণী কাজল চোখে ডুব দিয়ে থাকি
পরস্পরে করি জয় নিয়ে বরাভয়।।